মুশফিকের অপরাজিত ১৭৩ চা বিরতিতে বাংলাদেশ
মুশফিকের অপরাজিত ১৭৩ চা বিরতিতে বাংলাদেশ
প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের করা রান পাহাড় টপকে গেছে বাংলাদেশ। এগিয়ে যাচ্ছে এখন বড় লিডের সন্ধানে। যেখানে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মুশফিকুর রহিম। আগেই শতক পূরণ করা এই ব্যাটার এখন হাঁটছেন দ্বিশতকের লক্ষ্যে। মিরাজও আছেন ছন্দে।
রাওয়ালপিন্ডিতে আগে ব্যাট করে যখন ৬ উইকেটে ৪৪৮ রান তুলেছিল পাকিস্তান, প্রশ্ন উঠে এতো রান তাড়া করতে পারবে তো বাংলাদেশ? উত্তরটা এতক্ষণে দিয়ে দিয়েছে টাইগাররা। চা বিরতির আগে সমান ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ এখন পৌঁছে গেছে ৪৯৫ রানে।
৫ উইকেটে ৩১৬ রান নিয়ে আজ শনিবার মাঠে নামেন মুশফিক ও লিটন। আগের দিন ফিফটি পেয়েছিলেন তারা। সুযোগ ছিল শতকের পথে হাঁটার। তবে তা পারেননি লিটন। দুর্দান্ত খেলতে থাকা লিটন ফেরেন চতুর্থ দিন ১৬ রান যোগ হতেই। ৭৮ বলে ৫৬ করে নাসিম শাহর শিকার হন তিনি।
তবে মুশফিকুর রহিম ছিলেন দৃঢ়। ১১৪ রানের জুটি ভেঙে লিটনকে হারালেও মেহেদী মিরাজকে নিয়ে ফের প্রতিরোধ গড়েন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। প্রথম সেশন শেষে মধ্যাহ্নভোজে যাবার আগে ৯৭ বল থেকে ৫৭ রান যোগ করেন দু’জনে। যেখানে মুশফিক ছুঁয়েছেন তিন অংকের মাইলফলক।
মুশফিক টেস্টে তুলে নিয়েছেন তার এগারোতম শতক। পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে প্রথম। যা পাকিস্তানের মাটিতে ২১ বছর পর কোনো বাংলাদেশীর সেঞ্চুরি। শতক করার পথে মুশফিক দ্বিতীয় বাংলাদেশী হিসেবে স্পর্শ করেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫ হাজার রানের মাইলফলক।
শতক হাঁকিয়েও থামেননি মুশফিক। ষষ্ঠবারের মতো পেরিয়েছেন দেড় শ’ রানের গণ্ডি। মিরাজের যোগ্য সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছেন আরো একটা দ্বিশতকের পথে। মিরাজও খেলছেন দেখেশুনে, পেয়েছেন ফিফটি। দু’জনের জুটিতে এখন পর্যন্ত এসেছে ইনিংস সর্বোচ্চ ২৮৩ বলে ১৬৩* রান।
চতুর্থ দিনের চা বিরতিতে যাওয়ার আগে ১৪৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪৯৫। এতক্ষণে লিড নিয়েছে ৪৭ রানের। মুশফিক ব্যাট করছেন ৩১৪ বলে ১৭৩ রানে। মিরাজ অপরাজিত ১২৪ বলে ৫০ রানে। এখন দেখার বিষয় বাংলাদেশ তাদের ইনিংসটা আর কতদূর টানে।