বদলির দাবিতে একযোগে আন্দোলনে নামছেন এনটিআরসিএর সুপারিশপ্রাপ্তরা
দ্রুত বদলি কার্যকর করার লক্ষ্যে একযোগে আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সুপারিশে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকতের বিভিন্ন সংগঠন একত্রিত হয়ে আন্দোলনে নামছেন। আগামী ১০ অক্টোবর বাংলাদেশ বদলি-প্রত্যাশী শিক্ষক ঐক্যজোট ব্যানারে আন্দোলনে নামবেন তারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ শিক্ষক ঐক্য পরিষদ এর সভাপতি প্রভাষক মো. সরোয়ার বলেন, ‘আমাদের সংগঠনের আহবানে এনটিআরসিএর সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বদলি চালুর দাবিতে বিভিন্ন সংগঠনের সমন্বয়ে সভা করা হয়েছে। সভায় সবাই একত্রিতভাবে আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছেন। আগামী ১০ অক্টোবর এ কর্মসূচি পালিত হবে।
জানা গেছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের বদলির কোনো সুযোগ নেই। এনটিআরসিএ কর্তৃক প্রকাশিত গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের সুযোগ পেতেন তারা। তবে ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগ বন্ধ করে দেয় সরকার। এ অবস্থায় বিপাকে পড়েন নিজ বাড়ি থেকে শত শত কিলোমিটার দূরে চাকরি করা শিক্ষকরা। একইসঙ্গে নারী শিক্ষকদের ভোগান্তি বেড়ে যায় কয়েকগুণ।
ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগ বন্ধ হওয়ার পর বদলি চালুর দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষকদের একাধিক সংগঠন। দীর্ঘ আন্দোলনের পর সাবেক শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বদলি চালুর উদ্যোগ নেন। প্রাথমিকভাবে এনটিআরসিএর সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের নানা শর্তে বদলি চালুর জন্য একটি নীতিমালা তৈরি করে সরকার। এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারির পর মাউশির এক পরিচালকের মাধ্যমে একটি সফটওয়্যার তৈরি করা হয়। তবে এর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দেওয়ায় নতুন করে সফটওয়্যার তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ অবস্থায় দ্রুত বদলি কার্যকর করার দাবিতে আবারও আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিলি এনটিআরসিএর সুপারিশপ্রাপ্ত বিভিন্ন সংগঠন।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) একটি সূত্র জানিয়েছে, শিক্ষকদের বদলির সফটওয়্যার তৈরির জন্য আইসিটি মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিচালিত এক্সেস টু ইনফরমেশন বা এটুআই’র মাধ্যমে সফটওয়্যার তৈরি করা হবে। তবে এ সফটওয়্যার তৈরিতে কতদিন সময় লাগবে এবং সফটওয়্যার তৈরির ব্যয় কত তা জানিয়ে চিঠি দেবে এটুআই। এ চিঠি পাওয়ার পর সফটওয়্যার তৈরির কার্যক্রম শুরু হবে। এছাড়া বদলি নীতিমালা সংশোধন এবং সব ইনডেক্সধারী শিক্ষককে বদলির আওতায় নিয়ে আসার চ্যালেঞ্জও মোকাবেলা করতে হবে। এ অবস্থায় আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বদলি চালু করা নিয়ে সংশয়ে মাউশি।





