Education Ministry

স্কুল-কলেজে কর্মচারী নিয়োগে মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা বাস্তবায়নের নির্দেশ

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মচারী নিয়োগে নীতিমালা তৈরি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে এ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রজ্ঞাপন আকারে জারি হয়েছে। এ নীতিমালা অনুসরণ করে নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

সোমবার মাউশির সহকারী পরিচালক (বেসরকারি কলেজ) মো: মাঈন উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে,  ‘বেসরকারি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়/মাধ্যমিক বিদ্যালয়/উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়/ উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ/স্নাতক (পাস) কলেজ এর প্রবেশ পর্যায়ে শিক্ষক ব্যতীত অন্যান্য এমপিও পদে নিয়োগের সুপারিশ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অনুসরণীয় নির্দেশমালা প্রতিপালনের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’

এর আগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব রেহানা পারভীনের সই করা এক পরিপত্রে ‘বেসরকারি স্কুল-কলেজের প্রবেশ পর্যায়ে শিক্ষক ব্যতীত অন্যান্য পদে অনুসরণীয় নির্দেশমালা’ প্রকাশ করা হয়।

পরিপত্রে বলা হয়, শিক্ষক ছাড়া অন্যান্য এমপিওভুক্ত কর্মচারী পদে নিয়োগ সুপারিশ কমিটির সভাপতি হবেন জেলা প্রশাসক। এ কমিটিতে সদস্য হিসেবে থাকবেন সংশ্লিষ্ট জেলার সবচেয়ে পুরোনো সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ বা তার প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের একজন প্রতিনিধি (পরিদর্শকের নিচে নয়) এবং সংশ্লিষ্ট জেলার যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক বা সহকারী পরিচালক। কমিটির সদস্যসচিবের দায়িত্ব পালন করবেন সংশ্লিষ্ট জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।

এতে আরও বলা হয়, নিয়োগ সুপারিশ কমিটি পরীক্ষা গ্রহণ, ফলাফল প্রস্তুত ও নিয়োগের সুপারিশ দেবে।নিয়োগ সুপারিশ কমিটি মৌখিক পরীক্ষার সময় প্রয়োজনে একাধিক বোর্ড গঠন করতে পারবে। জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধির নেতৃত্বে নবম গ্রেডের নিম্নে নয় এমন তিন সদস্যবিশিষ্ট বোর্ড গঠিত হবে।

এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বেসরকারি মাধ্যমিক শাখার উপসচিব সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী বলেন, বেসরকারি স্কুল-কলেজে কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে আগের মতো গভর্নিং বডির বা ম্যানেজিং কমিটির কর্তৃত্ব থাকছে না। নতুন নিয়মে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে নিয়োগ সুপারিশ কমিটি গঠিত হবে। বেসরকারি স্কুল-কলেজে কর্মচারী নিয়োগে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এ বিধান করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *