ড্রেসিংরুমে বিতর্ক ব্যাটিংয়ে ভরাডুবি
ড্রেসিংরুমে বিতর্ক ব্যাটিংয়ে ভরাডুবি
তবে হঠাৎ করেই এই দায়িত্ব পাওয়া নয়; দেশের ক্রিকেট বোর্ডে এর আগেও তাকে চেয়েছিল বিসিবি। কিন্তু নানান কারণ দেখিয়ে দায়িত্ব নেননি তিনি। সহজ করে বললে, নাজমুল হাসান পাপনের আমলে বিসিবির প্রস্তাবে সাড়া দেননি তিনি।
তবে মাঠের বাইরে গণমাধ্যমে যথেষ্ট সরব ছিলেন। কথার ফুলঝুরিতে নিজেকে দেশসেরা কোচ হিসেবে উপস্থাপন করতেন। মূলত সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন সালাউদ্দিন।
জাতীয় দলের সিনিয়র সহকারী কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর সাম্প্রতিক সময়ে বেশ বিতর্কে তিনি। অবশ্য অনেকেই বলছেন, কোচিং অভিজ্ঞতায় এমনটা স্বাভাবিক। আর একাংশের মতে, তার ‘অপ্রয়োজনীয় হঠাৎ ঢুকে পড়া’ ড্রেসিংরুমে নতুন জটিলতা।
এদিকে সিনিয়র সহকারী পদ পেলেও মূলত জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। ওয়েস্ট ইন্ডিজে তিন ফরম্যাটের সিরিজ দিয়েই ব্যাটারদের দায়িত্ব নেন তিনি। এরপর একে একে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ, আরব আমিরাত এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও এই দায়িত্ব সামলে নেন তিনি।
এরই ধারাবাহিকতায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও ব্যাটিং কোচের ভূমিকায় আছেন তিনি। কিন্তু তার পথচলায় দেশের ব্যাটিং বিভাগ যেন নিয়মিত ডুবছে। টাইগারদের ব্যাটিং দুর্বলতা কোনোভাবেই কাটিয়ে ওঠতে পারছেন না দেশসেরা এই কোচ।
লঙ্কানদের বিপক্ষে তিন ওয়ানডে’র কোনটিতেই ৫০ ওভার খেলতে পারেনি টিম টাইগার্স। লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের এমন বাজে ব্যাটিংয়ে চিন্তিত বিসিবি পরিচালক আকরাম খানও। তার ভাষ্য, ‘ব্যাটিংটা যেভাবে হচ্ছে, এটা আসলে নরমাল ব্যাটিং না। ভালো পরিকল্পনা করে যে ঠান্ডা মাথায় ব্যাটিং করতে হয়, সেটার দেখা মিলছে না।’