অভ্যুত্থান-পরবর্তী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আলোচনায় ১০ মাসে ১৬ উদ্যোগ
অভ্যুত্থান-পরবর্তী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: আলোচনায় ১০ মাসে ১৬ উদ্যোগ
গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের মধ্য দিয়ে দেশে অনিয়ম, দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনে জর্জরিত আওয়ামী লীগের দেড় দশকের বেশি সময়ের শাসনের অবসান ঘটে। সেইসঙ্গে দেশের সব সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে নীতিনির্ধারণী জায়গায় পরিবর্তন আসে। এরই ধারাবাহিতকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদের নেতৃত্বে দায়িত্ব নেওয়া নতুন প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়টির নানা উদ্যোগ ও সংস্কারে হাত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। যদিও ফ্যাসিস্ট আমলের অসম রীতি-নীতির পরিবর্তন; দুর্নীতিবাজ, অপরাধী ও দুর্বৃত্তায়ণের চর্চাকারী আওয়ামীপন্থি শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ বেশকিছু বিষয়ে বিভিন্ন মহলের পক্ষ থেকে প্রশাসনের ব্যর্থতার দাবি উঠেছে। তারপরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিগত দশ মাসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নানা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে দেখা গেছে।
আবাসিক হলে গণরুম প্রথা বিলুপ্তিকরণ
আবাসিক হলে দীর্ঘকাল ধরে গণরুম প্রথা চলে আসছিলো। মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ও ক্ষমতাবান ছাত্রনেতা-নেত্রী কর্তৃক অবৈধভাবে হলের সিট দখল করে রাখার ফলে এক কক্ষে অনেক সময় ৩০-৪০ জনকেও থাকতে হতো। নতুন প্রশাসন দায়িত্ব নিয়েই সর্বসম্মতিক্রমে গণরুম প্রথা বাতিল করে মেধা ও প্রয়োজনের ভিত্তিতে আসন বণ্টনের নিয়ম চালু করে।
জুলাইয়ে হামলাকারীদের শাস্তিমূলক ব্যবস্থায় অনুসন্ধানী কমিটি গঠন
আন্দোলন চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সহিংসতায় জড়িতদের চিহ্নিত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার উদ্দেশ্যে একটি সত্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি প্রাথমিক তদন্তে ১২২ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে হামলায় জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এরপরে হামলায় আরও জড়িতদের চিহ্নিত করার জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রমাণ সরবরাহ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।